হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হৃদ্যন্ত্রে ‘পেসমেকার’ স্থাপন করেছেন তার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম।
রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন,
ম্যাডামের হৃদ্রোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ছিল, একটা স্টেনটিংও করা ছিল। সব কিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামের হার্টে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে পেসমেকার স্থাপনের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
পেসমেকার হলো হৃৎস্পন্দন নিয়মিত রাখার কৃত্রিম বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা বৈদ্যুতিক স্পন্দন তৈরি করে হৃদপেশিতে পাঠায় এবং হৃদপিণ্ডের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
চিকিৎসকরা জানান, হৃৎপিণ্ডের ডান অ্যাট্রিয়াম প্রাচীরে ওপর দিকে অবস্থিত বিশেষায়িত কার্ডিয়াক পেশিগুচ্ছে গঠিত ও স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রে নিয়ন্ত্রিত একটি ছোট অংশ যা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহ ছড়িয়ে দিয়ে হৃৎস্পন্দন সৃষ্টি করে এবং স্পন্দনের ছন্দময়তা বজায় রাখে এই পেসমেকার।
শুক্রবার (২১ জুন) গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তারপর তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
শনিবার থেকে এই পর্যন্ত মেডিকেল বোর্ড কয়েক দফা বৈঠকে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হার্টে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত দেন।
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার সবশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন।
এর আগে সবশেষ গত ১ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। জরুরি কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একদিন হাসপাতালে থাকার পর তাকে আবারও বাসায় নেয়া হয়।
৭৯ বছর বয়সি বেগম খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।