ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস মনগড়া ও অসত্য তথ্য দিচ্ছেন দাবি করে দোষারূপের রাজনীতি পরিহার করতে তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শনিবার মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ওই আহ্বান জানান তিনি।
সাঈদ খোকন বলেন, আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকার সময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। ২০১৯ সালে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। দেশের পত্রপত্রিকাসহ সব জায়গায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। এরপরও মেয়র তাপস ডেঙ্গু আক্রান্ত নিয়ে যা বলেছেন তা বোধগম্য নয়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় দোষারোপের রাজনীতি না করে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তাপস বলেন, ২০১৯ সালে যখন আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে ছিলাম, তখন ডেঙ্গুর আউটব্রেক হয় এবং পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমার চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। আমার এই হাজার চেষ্টার পরেও আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল সারাদেশে।
সে সময় ডেঙ্গুতে সারাদেশে ১৫৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত ছিলাম,আমি অনেক চেষ্টা করেও কিন্তু এই মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে পারিনি। কিন্তু আমি খুব দুঃখ, কষ্ট পেলাম, বর্তমান যে কর্তৃপক্ষ, তিনি বললেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার কম ছিল। এই কথায় আমি কষ্ট পেয়েছি, নগরবাসী হতভম্ব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দাবি করেন, মশা নিয়ন্ত্রণের কারণে ২০১৯ সালের তুলনায় (সাঈদ খোকনের আমল) ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী অর্ধেক কমেছে। সেই বক্তব্যের জবাব দিতেই মূলত আজ সংবাদ সম্মেলনে আসেন সাবেক মেয়র খোকন।
বর্তমান মেয়রের সময়ে ডিএসসিসি’র রাজস্ব আয় বাড়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ডিএসসিসি কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়; এটি একটি সেবা প্রতিষ্ঠান। আমি দায়িত্বে থাকাকালে মানুষকে সেবা দিতে চেষ্টা করেছি। আগামীতেও বর্তমান দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।