সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ আমাদের দেশে বিরাট সমস্যা সৃষ্টি করেছে। তাদের দেশের সৈনিকরা আমাদের দেশে পালিয়ে আসছে। গোলা-বারুদ আমাদের দেশের মধ্যে পড়ছে। ইতিমধ্যে দুজন বাংলাদেশের নাগরিক নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অনেকে।
সীমান্ত পরিস্থিতি দেশের মানুষের মাঝে চরম উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, উৎকণ্ঠিত হওয়ার যথেষ্ঠ কারণ রয়েছে। সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা বলতে পারছি না।
আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনদিনের সফরে রংপুরে গিয়ে নগরীর সেনপাড়া মহল্লায় তার পৈত্রিক বাসা স্কাই ভিউতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি দলীয়ভাবে দলীয় প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে। যেহেতু আইন হয়েছে, আমরা দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেবো। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে।
সংসদ কার্যকর হচ্ছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন জবাবে জিএম কাদের বলেন, সংসদে উভয় পক্ষ সমানভাবে কথা-বার্তা বলতে পারলে সংসদ কার্যকর হয়। বিরোধী দল হিসেবে আমাদের রোল প্লে করার সুযোগ এখনও সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করি না। সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের, সেজন্য সংসদে বিরোধী দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে।
জাতীয় পার্টি ২০১৪ সালের মতো সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে মন্ত্রীসভায় যোগ দিচ্ছে কিনা- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আমরা পাইনি। যদি আসে সবকিছু বিবেচনা করে সকলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করা, সরকারের দোষ-ক্রুটি ধরিয়ে দেওয়া, খারাপ কাজের সমালোচনা করাসহ কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায়।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যান্ত খারাপ। নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বাড়ছে। সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বললেও তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে বলে আমার কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে না। অর্থনীতির বেহাল দশার কারণে মানুষ কর্ম হারাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে। যে আয় হয় সাধারণ মানুষের, তা দিয়ে তিনবেলা খাবার জোটানো সম্ভব হচ্ছে না।