আমি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি—বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়া-২ আসনে পরাজিত নৌকা প্রতীকের হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক তথ্যমন্ত্রী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি আবারও বলেছেন ‘আমি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি’।
আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুরে উপজেলা জাসদ কার্যালয়ে ভোট পরবর্তী দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে জাসদ সভাপতি এ কথা বলেন।
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে এবার পরাজিত হয়েছেন টানা তিনবারের এমপি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন।
ইনু বলেন- বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত, সাংঘর্ষিক ও কারচুপির ঘটনা ছাড়া সারাদেশের ভোট সুষ্ঠু হয়েছে এই মতের সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো আমার এলাকা ওই বিচ্ছিন্ন ঘটনার অন্তর্ভুক্ত। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মস্তান বাহিনী ভোটের সাত দিন আগে থেকে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেটা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ভোটের দিন ১৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট প্রদান লক্ষ্য করা গেছে যা কারচুপির মাধ্যমে করা হয়েছে। প্রতিবাদ করার পরেও এবং উপুর্যপুরি এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পরেও কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইনু বলেন আমি মনে করি, কুষ্টিয়া-২ আসনে আমি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি। আশা করি এটা সবাই তদন্ত করে দেখবেন এবং এর প্রতিকার ও বিহীত করবেন।
জোট প্রসঙ্গে ইনু বলেন, নির্বাচনী ঘটনা নিয়ে জোটে কোন রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে না। তবে নির্বাচন নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সেটা অবশ্যই নিষ্পত্তি করতে হবে। একই সঙ্গে সঙ্গে জোটের প্রার্থীর এলাকায় প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থীর গুন্ডাবাহিনীর যে আক্রমণ, হুমকি-ধামকি অত্যাচার শুরু হয়েছে এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তা না হলে জোটের অভ্যন্তরে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে না।
এর আগে সোমবার ইনু ভোটে কারচুপি ও প্রশাসনের উদ্দেশ্যমূলক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছিলেন।