নব্বই দশকে বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিজ্ঞাপন বিরতিতে দেখা যেত পপি লাইব্রেরির পপি গাইডের বিজ্ঞাপন। নব্বই দশকের কিশোর তরুণদের কাছে পপি গাইড খুবই পরিচিত। সেই পপি গাইডের লেখক আব্দুল মজিদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিতে স্নাতকোত্তরের পর কুমিল্লার মুরাদনগরে একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ বৈচিত্র্যময় পথ পাড়ি দিয়ে আজ তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
অধ্যাপক আব্দুল মজিদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ১৯৯৫ সালে কলেজে শিক্ষতার অবসরে তিনি গাইড বই (সহায়ক বই) লেখা শুরু করেন। এই গাইড বই বাজারে বেশ সাড়া ফেলে। হাতে আসে। টাকা। এই টাকা দিয়ে তিনি কুমিল্লার মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুরে গড়ে তোলেন কলেজ। একদম নিজস্ব অর্থায়নে। ১৯৯৭ সালে এই কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাতজন মেধাতালিকায় স্থান পায়। ইতোমধ্যে হোমনায় একটি হাসপাতাল করেছেন। এখন একটি মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার স্বপ্ন তার।
কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিমা আহমাদকে ১ হাজার ৯৬১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। হোমনা ও মেঘনা উপজেলায় মোট ৯৪ টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল অনুযায়ী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪১৪ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিমা আহমাদ পেয়েছেন ৪২ হাজার ৪৫৩ ভোট।
এখন আব্দুল মজিদের গল্পটা সবার জানা। তাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও চলছে বিস্তর লেখালেখি। বলছেন, আব্দুল মজিদ একজন শিক্ষানুরাগী। জীবনের সময়টা ব্যয় করেছেন মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার পেছনে। এখন তিনি সংসদে যাচ্ছেন, নিশ্চয়ই শিক্ষা নিয়ে তিনি বড় কোনো কাজ করবেন।