নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা পৃথক দুই মামলায় ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আবদুল হাইসহ তিন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এ আদেশ দেন। ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শৈলকুপা থানা-পুলিশকে এ ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা অপর দুই আসামি হলেন- শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও সারুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তায়জুল ইসলাম বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন। গত ২৬ ডিসেম্বর তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর আদালত থেকে শৈলকূপা থানায় এ সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।
একটি মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি মো. আব্দুল হাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ এ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। গত ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় শৈলকুপা থানাধীন ৬ নং সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে উক্ত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আসামি আব্দুল হাকিম এবং আসামি মাহমুদুল হাসান মামুন তাদের অনুসারীদের নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
আসামিরা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৮(ক), ১১(ক) ও ১২ বিধি লঙঘন করে উক্ত বিধিমালার ১৮ বিধির শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
আরেক মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় আসামী মো. আব্দুল হাইয়ের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে শৈলকুপা উপজেলাধীন ১৪ নং দুধসর ইউনিয়নের ভাটাই বাজার সংলগ্ন মহাসড়কে মহড়া দেয়।
এতে জনগণের মনে ভীতি সঞ্চার করে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৮(ক), ১১(ক) ও ১২ বিধি লঙঘন করে উক্ত বিধিমালার ১৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।