গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগের আকাশে অন্ধকারের কালো মেঘ। তারা সেই কালো মেঘ দিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে ঢেকে দিতে চায়। তাই এদেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা আওয়ামী লীগের ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের ভবিষ্যৎ কালো মেঘে ঢেকে দেবে নাকি প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
বুধবার বেলা পৌনে ১২টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর আগে একটি মিছিল পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে ঘুরে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করেছে, অপমান করেছে। এই বিজয়ের মাসে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের মতো মুক্তিযোদ্ধাকে গতকাল চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেয়নি। বিমানবন্দরে লাঞ্ছিত করেছে, অপমান করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হয়ে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। শেখ হাসিনা লেন্দুপ দর্জির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে সিকিম বানাতে চান। কিন্তু সেটা এদেশের গণতন্ত্রকামী, স্বাধীনতাকামী জনগণ হতে দেবে না।
আওয়ামী লীগের এই স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র খেলার নির্বাচনের হলফনামা দেখলেও দেখা যায় একেকজন বিনা ভোটে এমপি হয়ে শূন্য থেকে কোটিপতি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কোথা থেকে এসেছে এই টাকা? এই লুটের সুবিধা, জিরো থেকে হিরো হওয়া, শুল্ক মুক্ত কোটায় গাড়ি আমদানি যে কারণেই নায়ক-গায়ক, ব্যবসায়ী সবাই নৌকার টিকিটে এমপি হতে চায়।
তিনি আরো বলেন, এই অবৈধ কমিশন দালাল, এই কমিশন প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নিয়োগ পেয়েছে। তারা যে সরকারের নগ্ন দালাল সেটা এখন প্রমাণিত। আপনারা দেখেছেন ১৮ ডিসেম্বরের পর নির্বাচনী প্রচার ব্যতীত যেন কোনো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং না করা যায় সেজন্য নাকি তারা ব্যবস্থা নেবে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। সেটা নির্বাচন কমিশন বন্ধ করতে পারে না। যেখানে নির্বাচন কমিশনকেই আমরা স্বীকৃতি দেই নাই, তার নির্দেশনা কে তোয়াক্কা করে। নির্বাচন কমিশনকে রাস্তায় পেলে জনগণ প্রহিহত করবে। জনগণের অর্থ খরচ করে ৭ জানুয়ারি ডামি প্রার্থীর ভুয়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নয়, অন্য কিছু হবে।