‘নির্বাচনে লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড নেই এমন দাবি করে আসন্ন নির্বাচন বানচালে অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। অথচ তারা নির্বাচনেই অংশ নেয়নি। আন্দোলন ডেকে তারা নিজেদের ঘরোয়া সভা-সমাবেশ করছে। তারপর দুর্ঘটনা ঘটাতে গাড়ি ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করছে।’
সজীব ওয়াজেদ জয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন।
এক্স পোস্টের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিডিওর বিবরণে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, বিএনপি জামায়াতের বেশিরভাগ মিছিলেই ২০-৩০ জনের বেশি জমায়েত ছিল না। যাতে বোঝা যায়, জনগণ তাদের এই দাবির সঙ্গে একমত নয়। এমনকি দেখা যায়, সাধারণ জনগণ তাদের কর্মসূচিতে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করছেন।
পোস্টে বলা হয়, ২০২২ সাল থেকে তারা একাধিক কর্মসূচি ডাকলেও সেসব ছিল জনসমর্থনহীন। জনগণের সমর্থন হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত সরকারকে বিভিন্ন হুমকি ও আল্টিমেটাম দেয়ার পাশাপাশি সহিংসতার হুমকিও দিচ্ছে বলে জানান সজীব ওয়াজেদ।
ভিডিওতে আরও বলা হয়, আমান উল্লাহ আমান গত বছর বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশ চলবে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে। ওই সময়ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মূলত দলটির দীর্ঘ মেয়াদি সহিংসতার পূর্বাভাস ছিল ওই আল্টিমেটাম। বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার নিয়েও বিভিন্ন সময় হুমকিধামকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে একই মঞ্চে থাকা নেতা প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন ১৯৭৫ সালের মতো ঘটনা ফের ঘটানোর। যদিও পরবর্তীতে তাকে দল থেকে তিরস্কার করা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনাকে সরকারেরই কাজ বলেও অভিহিত করেন বিএনপি নেতারা।
সেখানে বলা হয়, রাজশাহী বিএনপির নেতা আবু সাইদ চাঁদের হুমকি দেওয়া ওই বক্তব্যের সমর্থনে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করতে চাঁদ ওই বক্তব্য দিয়ে থাকতে পারেন।’
এতে আরও বলা হয়, সন্ধ্যার পর ও রাতে ’হিট আ্যান্ড রান’ পদ্ধতিতে হামলা চালানো হয়েছে। চার থেকে পাঁচজন মোটরসাইকেলে করে এসে আগুন দিয়ে পালিয়েছে।
ভিডিওর বিবরণে বলা হয়, গত এক মাসের মধ্যে এরকম ঘটনার সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তাদের কারও কারও কাছে পেট্রোল বোমা পাওয়া গেছে। যদিও বিএনপি বিভিন্ন মিশনে চিঠি পাঠিয়ে দাবি করেছে, এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত। সেখানে বিএনপি তাদের নেতা হিসেবে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। অথচ, তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রেখেছিলেন।
বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে মিয়া আরেফি নামে এক ব্যক্তি বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে দেশে শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনসহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দেন জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে এলে সেটি বিএনপিকে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ফেলে।
ভিডিওর বিরবণে বলা হয়, রুহুল কবির রিজভী থেকে শুরু করে বিএনপির ভেরিফায়েড বিভিন্ন পেজে দাবি করা হচ্ছে, চলমান সহিংসতায় জড়িত সরকার। অথচ সুশীল সমাজ ও সংখ্যালঘু সমাজের উদ্বেগের বিষয়ে তারা চুপ। ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রকাশ্যে শরীয়াহ আইন করার কথাও জানায়।
সংখ্যালঘু নেতাদের বরাত দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জানান, দশকজুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালালেও বিএনপি-জামায়াত ক্ষমা চায়নি। বরং জামায়াত নেতা সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে এমন গুজব ছড়িয়েছে দলগুলো।
ভিডিওতে বলা হয়, নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ৩১ অক্টোবর থেকে তাদের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত। দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান নানাভাবে তারেক রহমানের পক্ষে সাফাই দিয়ে আসছেন। যা তার বিশ্বাসযোগ্যতাকেও ক্ষুন্ন করেছে।