গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। আগামী ২৪ জানুয়ারি নতুন এদিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার-৩ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক আলী হোসেনের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে হাজিরা দেন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। একইসঙ্গে চার্জ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন তিনি।
আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির জন্য ২৪ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। এতে আসামি করা হয় চার দলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, খালেদার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে।
মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
এ মামলার আসামি ২৪ জনের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানসহ আটজন মারা গেছেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় তাকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বর্তমানে খালেদা জিয়াসহ এ মামলার আসামি হচ্ছেন ১৫ জন। অন্যরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আনছার, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন গ্যাটকো পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন ও বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন।