আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধানের মধ্যে থেকে তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের তারিখ পেছানো কমিশনের এখতিয়ার। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নেই।
আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) সাংবাদিকদের কাদের বলেন, মনোনয়নের উৎসব দেখেই বোঝা গেছে মানুষ নির্বাচনমুখি। এ নিয়ে চিন্তার আর কোনো কারণ নেই।
কাদের বলেন, নির্বাচনের আসর জমে গেছে। অনেকে ভেবেছিলো নির্বাচনে কারা আসবে, কারা আসবে না। তবে ফুল ফুটতে শুরু করেছে, আরো অনেক ফুল ফুটবে। নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়া পর্যন্ত শত ফুল ফুটবে। আমরা হ্যাপি। এ নিয়ে কেউ চিন্তা করবেন না।’ আওয়ামী লীগের ইশতেহার এরইমধ্যে চুড়ান্ত হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, নাশকতাই এখন তাদের একমাত্র অস্ত্র। ইলেকশন এখন জনগণের সম্পদ, তাই এই ইলেকশন প্রতিহত করার কোনো চেষ্টায় এখন আর সফল হবে না।
তিনি বলেন, বিদেশিদের নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। তারা হামাস ইসরায়েল নিয়ে ব্যস্ত, ইউক্রেন রাশিয়া নিয়ে ব্যস্ত। এমন সময়ে আমাদের নিয়ে এতো ভাবার সময় তারা পাবে বলে মনে হয় না। কে ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা দিল এ নিয়ে ভেবে লাভ নেই। আমাদের গোটা দেশ উৎসবমুখর, নির্বাচনমুখি।
বিএনপির আন্দোলনের জোটসঙ্গী কল্যাণ পার্টি আরও দুটি দলের সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট নামে জোট করে নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয় বুধবার। একইদিন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করলেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে খোলাখুলি কিছু বলছিলো না একসময়কার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোট করা জাপা।
ঢাকা জেলা কার্যালয়ে ওই সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা দরকার। নাশকতা ঠেকানো দরকার, অপপ্রচার প্রতিহত করতে হবে। নাশকতাই বিএনপির এখন অস্ত্র। তারা নাশকতা করে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চাইবে। তবে, নির্বাচন ভণ্ডুল করতে পারবে না। কারণ নির্বাচন এখন জনগণের কাছে চলে গেছে। নির্বাচন এখন জনগণের সম্পদ। নির্বাচন বানচালের কোন চেষ্টাই আর সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসময় বলেন দেশের নির্বাচন নিয়ে অন্য দেশগুলোর তৎপরতা নিয়ে ‘মাথা ঘামানোর কিছূ নেই।’
তিনি বলেন, ‘শক্তিধর দেশগুলো নিয়ে এখন মাথা ঘামানোর কিছু নেই। যারা আমাদের নিয়ে মাথা ঘামাবে তারা এখন মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ব্যস্ত। হামাস ইসরাইল নিয়ে ব্যস্ত, রাশিয়া ইউক্রেন নিয় ব্যস্ত। তারা কে নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি দিলো সেটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। আমাদের শক্তি জনগণ। জনগণ সাথে আছে তফসিল ঘোষণার পর সেটি প্রমাণ হয়ে গেছে। তফসিল ঘোষণার পর উৎসবমুখর প্রতিটি গ্রাম, শহর। কাজেই আমরা বিজয়ী হবো। মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ী হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ী হবে।