\’যারা অপকর্ম করে জনগণের কাছে অপছন্দ\’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যারা অপকর্ম করে জনগণের কাছে অপছন্দ, অগ্রহণযোগ্য- এইসব লোককে আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দিন। দল ভারি করার জন্য অপকর্মকারী কাউকে দলে টানবেন না। খারাপ লোক বাদ দিতে হবে, ভালো লোকদের সদস্য করতে হবে। ’

বুধবার রাজশাহীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী সমাজ। আমাদের এবার প্রথম টার্গেট হচ্ছে নারী ভোটার। এরপর টার্গেট হচ্ছে প্রথমবারের মতো যারা ভোটার; মানে তরুণ ভোটার। এই দুই ক্যাটাগরির ভোটারদের ফোকাস করে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাতে হবে।

কাদের সদস্য করা যাবে এবং কাদের সদস্য করা যাবে না তারও দিক নির্দেশনা দেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর যারা সৎ মানুষ, রাজশাহীর যারা ভালো মানুষ, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে তাদের আপনারা সদস্য মনোনয়ন করবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, চিহ্নিত কোনো চাঁদাবাজ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। দাগী কোনো অপরাধী, চিহ্নিত কোনো সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। চিহ্নিত কোনো ভূমিদস্যু, ভূমি দখলকারী, বাড়ি দখলকারী, চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী কোনো অপশক্তি আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। এটা আমার নেত্রীর নির্দেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ। এই নির্দেশনা আপনারা ফলো করবেন। ’

আওয়ামী লীগ একটি ভোটের জন্য নয়, আগামী প্রজন্মের জন্য রাজনীতি করে বলেও নেতাদের স্মরণ করিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের। আগামী নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে আলোকপাত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে দাঁড়ালো এটা ব্যাপার নয়। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বাইরে যে যাবে তার আওয়ামী লীগ করার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। দল করলে দলের আদর্শ মানতে হবে, দলের নিয়ম মানতে হবে, দলের প্রার্থীকে মানতে হবে। ’

নেতাকর্মীদের সতর্ক করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উন্নয়ন যতোই হোক আচরণ খারাপ হলে উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। আচরণে যারা খারাপ আছেন, দয়া করে সংশোধন হোন। ’

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, আমিনুল আলম মিলন, মেরিনা জাহান কবিতা, পারভীন জামান কল্পনা, জাহাঙ্গীর কবির রানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর সদস্যপদ নবায়নের মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. এস আর তরফদার, অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন নগর আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নবায়ন করেন। নতুন সদস্য হন সাথী রায়, মমতা পারভীন, নাইমা হোসেন। জেলা আওয়ামী লীগের অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে, ডা. মনসুর রহমান, পল্লী চিকিৎসক অরুণ কুমার বিশ্বাস, ফজিলাতুন নেসা, অ্যাডভোকেট একরামুল হক তাদের সদস্যপদ নবায়ন করেন। এছাড়া অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা লিপি, অ্যাডভোকেট সাদেকুল ইসলাম, ডা. শহীদউদ্দিন সরকার নতুন সদস্য হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ০১  নভেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস পি