সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুদকের আইনজীবী জানিয়েছেন, নাইকো দুর্নীতি মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই। আজ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেছেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।’
গত সোমবার (২৮ আগস্ট) উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত। কানাডার প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে করা চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি এবং দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদক খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে খালেদা জিয়াসহ আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০২৩ সালের ১৯ মার্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত মামলার অন্য আসামিরা হলেন—তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
১৯শে মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, এ কে এম মোশারফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় এরই মধ্যে মামলা থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।