যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ জানান, বিশ্বের কালজয়ী মহানায়কদের অনেকেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ড। এটি শুধু একটা রাজনৈতিক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড ছিল না এটি ছিল সদ্যঃস্বাধীন বাংলাদেশকে জন্মের পরেই গলা টিপে হত্যা করা। নবজাতক দেশকে শিকলে বেঁধে ফেলা এবং নব্য উদ্ভাসিত জাতিসত্তার পরিচয় মুছে ফেলা।
আজ (২৫ আগস্ট) বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভবন অডিটরিয়ামে মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টে শহীদদের স্মরণে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফজলে শামস পরশ এ কথা বলেন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। কারণ এই হত্যাকাণ্ডের নির্বিচারে শিকার হয়েছিল এমন একটি পরিবার, যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল। আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, শেখ আবু নাসের, শেখ ফজলুল হক মণি, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শহীদ সেরনিয়াবাত এরা সবাই প্রকৃত দেশপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।
শেখ ফজলে শামস পরশ খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ১৫ আগস্ট আপনি কিভাবে জন্মদিন পালন করেন? আপনি নাকি দেশনেত্রী। আওয়ামী লীগ এ দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এ দেশের জনগোষ্ঠীর একটি বৃহৎ অংশ বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে, নেতা মানে। তাহলে আপনি কিভাবে সেই জনগোষ্ঠীকে অবহেলা, উপেক্ষা করে জন্মদিন পালন করেন?
তিনি আরো বলেন, বিএনপি হিংসার রাজনীতি করে, বাংলা ভাইয়ের মতো জঙ্গি সৃষ্টি করে, বোমাবাজির রাজনীতি করে, হত্যার রাজনীতি করে, লাশের রাজনীতি করে। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, যারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এবং একটা এলিট শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য।
এ দেশে আজকে বাংলার যুবসমাজ বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি করছে। এই প্রগতিশীল ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশের সময়ের দাবি করে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা । বিএনপির রাজনীতি সৃষ্টি হয়েছিল এ দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে, তারা মানুষের অধিকার হরণ করতে পারদর্শী।
এ আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।