আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠান জনসমুদ্রে রূপ নেব। এ উপলক্ষে ক্ষমতাসীন দল রাজধানীতে সুধী সমাবেশ করবে।
গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা ও আশপাশের জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা জনসমুদ্রে রূপ নেবে। মহাসমুদ্রের সে স্রোত দেখার অপেক্ষায় আছি।
ঐতিহ্যবাহী পতাকাবাহী দল আওয়ামী লীগ। আমরা যারা ৭১, ৭৫, ৩ নভেম্বর এবং ২১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেছি। আমাদের হৃদয় এবং চেতনার মধ্যে অনেক কষ্ট রয়েছে। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “অশুভ শক্তি আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। অন্ধকারের শক্তি চ্যালেঞ্জ করছে, আমাদের লড়তে হবে।
নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে, যার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার মোকাবিলা করবেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ নেতা মানবে না। দুর্নীতিবাজ, দণ্ডিত ও লুটেরাদের হাতে দেশের শাসনক্ষমতা তুলে দেবে না জনগণ।
নির্বাচনের সময় বিএনপির দায়িত্বহীনতা এড়াতে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে জনসমুদ্র সৃষ্টি করা হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের দেখানো হবে ঢাকা আমাদের দখলে।’
আওয়ামী লীগের কর্মকর্তাদের মতে, যে দলের সঙ্গে দেশের জনগণ রয়েছে, বিদেশিরা সে দলকে ক্ষমতা থেকে হটাতে পারে না। শেখ হাসিনার সরকার দেশে কিংবা বিদেশে কোথাও বন্ধুহীন নয় বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
এ ছাড়া বলেন, উন্নয়ন করবে শেখ হাসিনা আর দেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে, তা সম্ভব নয়।
মতবিনিময়সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ।
গত ১৪ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের দিন বিকেলে পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। পরদিন যান চলাচলের জন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উন্মুক্ত করা হবে। যান চলাচলে আপাতত সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। তার মানে ১০ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট যাওয়া যাবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি হুইলার ও মোটর বাইক চলাচল করবে না বলেও জানান তিনি। বর্তমান প্রকল্পে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ যান চলাচলের জন্য প্রায় প্রস্তুত। এ অংশের মেইন লাইনের দৈর্ঘ্য ১১.৫ কিমি এবং র্যাম্পের দৈর্ঘ্য ১১.০ কিমি। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিমি। এ অংশে ওঠানামার জন্য মোট ১৫টি র্যাম্প (এয়ারপোর্ট-২, কুড়িল-৩, বনানী-৪, মহাখালী-৩, বিজয় সরণি-২ ও ফার্মগেট-১) রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।