বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এবং হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামানকে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। ডা. এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) লিপিবদ্ধ করেন চিকিৎসক।
গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি জিডি করেন তিনি।
জিডিতে ডা. জামান বলেন , তিনি বিএসএমএমইউয়ে হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। রোববার রাতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় সেখানে ভর্তি হন। সাঈদী বিএসএমএমইউয়ের হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
সোমবার সেখানে চিকিৎসাধীন সাঈদী মৃত্যুবরণ করেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের একজন সদস্য হিসেবে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও ইউটিউবে বিভিন্ন আইডি থেকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
জিডিতে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে কতিপয় ব্যক্তিদের আচরণে ভীত ও শঙ্কিত। কয়েকটি ফেসবুক ও ইউটিউব পেজের ব্যবহারকারী এবং তাদের অনুসারীরা যে কোনো সময় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের খুন-জখমসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। মূলত এসব বিষয় উল্লেখ করে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেন তিনি।
ধানমণ্ডি থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করেননি তিনি।
এরই মধ্যে থানায় জিডি করে দেখান ডা. জামানের মতে, সাঈদীকে আমাদের দল একজন সাধারণ রোগীর মতোই পরিচালনা করেছিল। তার পরিচর্যা কোনোভাবেই ব্যাহত হয়নি। তিনি আমাদের কাছ থেকে সম্ভাব্য সর্বোত্তম যত্ন পেয়েছেন। কোন দুর্ব্যবহার বা দুর্ব্যবহার ছিল.
এরই মধ্যে বিএসএমএমইউ কর্মকর্তারা বুধবার বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনের সময় নির্ধারণ করেছেন। সাইদীর চিকিৎসা সম্পর্কে তথ্য দিতে।
এর আগে বিএসএমএমইউতে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে সাঈদী মারা যান। চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার সময়।
১৩ আগস্ট রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে প্রাথমিকভাবে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুকে ব্যথার কারণে। অন্যান্য পরীক্ষার সাথে তার ইসিজিও সেখানে করা হয়েছিল। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়। রবিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে সাইদীকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।