ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে হামলায় জড়িতদের নাম পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ডিবির পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এ তথ্য জানান।
ডিবিপ্রধান দাবি করেছেন যে, সাঈদীর মৃত্যু কেন্দ্র করে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে একটা অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি করাই ছিল তাণ্ডবকারীদের উদ্দেশ্য। ঘটনাটি সিসি টিভিতে ধরা পড়েছে। ভিডিওটি দেখার পর জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
তিনি দাবি করেন যে, শুধু সাঈদীকে ঘিরেই নয়, যখনই তারা (জামায়াতে ইসলামী) সুযোগ পাচ্ছে, তখনই পুলিশের ওপর হামলা, মানুষের জানমালের ক্ষতি করছে ও গাড়িতে আগুন দিচ্ছে।
এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী নয়, অন্য কিছু গোষ্ঠী সমর্থক রয়েছে। তারা চাচ্ছে সামনে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে একটা অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি করা বলে জানান ডিবি প্রধান। তারা আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের কাছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন এবং অসংখ্য নামের তালিকা রয়েছে। যারাই এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তাদের ১৫ আগস্টের প্রোগ্রাম বানচাল করার উদ্দেশ্য ছিল, তিনি দাবি করেন। না হলে মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল সাঈদীর পরিবার। সেই মুহুর্তে, একই ব্যক্তি যারা ২০১৪ সালে হামলা ও বোমা হামলা করেছিল এবং সাঈদী চাঁদে রয়েছে এমন ধারণা প্রচার করেছিল, তারা আরও একবার ছুটে গিয়েছিল।
জামায়াতে ইসলামী এর আগে মিরপুরসহ ঢাকার বেশ কয়েকটি পাড়ায় ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি ছাড়াই মিছিল মিটিং করেছে।
তিনি আরও বলেন, সাঈদীর ছেলে সরকারের কাছে যেভাবে আবেদন করছিলেন মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য, সেই অনুমতিও দিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।