আজ জুমা নামাজের পর ‘গণমিছিল’ বিএনপির

সংগৃহীত

রাজপথে কর্মসূচি পালনকারী বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো একযোগে আন্দোলনের দাবি করছে। ২৯শে জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার অংশগ্রহণের বিষয়ে দলের মধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচি ব্যর্থ হওয়ার পেছনে নেতাদের সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। সাংগঠনিক সক্ষমতা জোরদার করতে দলটির অভ্যন্তরে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে বিএনপি।

এখনো পর্যন্ত কোনো নির্ধারিত তফসিল ঘোষণা না হলেও যুগপৎ আন্দোলনের এক দফা দাবি বাস্তবায়নে ঢাকায় মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি কবে গণসমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে? এই কর্মসূচিতে সব পর্যায়ের নেতাদের ভূমিকা মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের একাধিক সিনিয়র নেতা।

আগামী ১১ আগস্ট শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকায় পূর্বঘোষিত গণসমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তরের বাড্ডা সুবাস্ত টাওয়ার থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত বিশাল আকারের বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

সমান্তরালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে বিএনপির বিশাল সমাবেশ হবে কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সমাবেশে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

উত্তরের গণসমাবেশের আয়োজন করছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।

আর একই সঙ্গে দক্ষিণের গণমিছিল সমন্বয় করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

আন্দোলনে নেতাদের ভূমিকা মূল্যায়নের বিষয়ে দায়িত্বশীল এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, চলমান আন্দোলনে দলের নেতাদের সক্রিয় উপস্থিতির বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হবে। আমরা আমাদের আন্দোলনে নেতাকর্মীদের ভূমিকা মূল্যায়ন করব এবং আগামীর করণীয় নির্ধারণ করব।

জানা গেছে, ২৯ জুলাইয়ের অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার তালিকা বেশ দীর্ঘ। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতাসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে এ তালিকায় আছেন।