রাজধানীর রমনার থানার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আমান উদ্দিন দুলাল । ছিলেন যুবলীগেও। রমনা আওয়ামলীগে সম্পৃক্ত থাকলেও নিজের জন্ম স্থান ফেনী জেলার রাজনীতিতেও তিনি বেশ সক্রিয়। দলটির নানান দু:সময়ে মাঠে ছিলেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে নিয়েই রাজনীতি করেন দুলাল। ২০০১ সালে নির্বাচনের পরের দিন রাজনৈতিক কারণে হয়েছেন গ্রেপ্তার। শুধু তাই নয় গ্রেপ্তারের পর শুধু আ্ওয়ামীলীগ করার কারনে করা হয় অমানুষিক নির্যাতন। তার রাজনৈতিক জীবন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীতার বিষয়ে লেটেস্ট বিডি নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার মো. আমান উদ্দিন দুলাল।
লেটেস্ট বিডি নিউজ:
আমান উদ্দিন দুলাল:
লেটেস্ট বিডি: আপনি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নমিনেশন না পাওয়ার কারণ কি?
প্রথম প্রশ্নের জবাবে মোঃ আমান উদ্দিন দুলাল বলেন, আমি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বদেশ পূর্তি ভাবে জনগনের আশা আকাঙ্খা পূরণ করার লক্ষ্যে আমি কাজ করে ছিলাম এবং একাদশ জাতীয় সংসদে শতভাগ আশায় ছিলাম আমিই নমিনেশন পাবো। আসলে ভোটটা আমার জননেত্রীর ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে নমিনেশন না দেয়। এই ব্যাপার নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারবো না । কিন্তু একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিল, এবারের নির্বাচনটা কঠোর ভাবে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছিলেন , আমি যাকে নমিনেশন দিব তোমরা তাকে ভোট দেবে। আমি জননেত্রীর পক্ষ হয়ে হাতুড়ি মার্কায় সমর্থন করেছিলাম এবং তিনি যা বলবেন সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে। পরবর্তীতে জানা গেছে, তিনি আগের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সদস্যকে নির্বাচিত করেছেন। নমিনেশন কাগজে লেখা ছিল, ভোটের সিদ্বান্তই চূড়ান্ত সিদ্বান্ত আপনি মেনে নিবেন। তাই আমি মনে করি, আমার জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্বান্তই সঠিক।

এবার তো ফেনী -২ আসনের আপামর জনসাধারণ আপনাকেই চাচ্ছে। এতে আপনার মন্তব্য কি?
দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা পুরানো আওয়ামী লীগ তারা ২০০১ এ নির্বাচনের পরে মাঠে নেমে নিজেদের জীবন বাজি রেখে যারা রাজপথে ছিল তারাই চাচ্ছে আমি যেন নমিনেশন পায়। তিনি আরো বলেন, আমার পক্ষ থেকে চাওয়া পাওয়া কোনো কিছুই নাই, আমার ফেনী- ২ আসনে ছোট একটা বাড়ি আছে। আমার বাবা মরহুম শফি উদ্দিনের জন্ম ফেনী – ২ আসনের ভাগবানপুর, আমারও জন্ম সেখানে। মোঃ আমান উদ্দিন দুলাল জানান, তার বাবা বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর ছিলেন এবং আমি সাবেক ছাত্রনেতা ছিলাম । তিনি আওয়ামী লীগ দলকে খুব ভালোবাসেন, এই দলকে নিয়ে কাজ করে গেছেন এবং ভবিষ্যৎও করবেন ।
আওয়ামীলীগ এ আপনার পরিবারের ইতিহাস কি?
এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি ২০০১ সালে নির্বাচনের পরের দিন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হয়েছি এবং অমানুষিক ভাবে অত্যাচারিত হয়েছি। আমি জেলে ২ দিন ৩ রাত থাকার পরে তারা ভেবে ছিল আমি মারা গেছি তখন আমাকে ফেনীর সদর হাসপাতালের ডোম ঘরে নেওয়ার পরে ডাক্তার দেখল আমি বেঁচে আছি। তখন ডাক্তার আমাকে অক্সিজেন লাগাই আর চিকিৎসা চালায়, এই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমি জেলে ছিলাম। তারপর জেল থেকে বের হয়ে ঢাকায় এসে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ১৮ দিন ভর্তি ছিলাম । ১৮ দিন পর হলি ফ্যামিলি থেকে আমি ভারতে চিকিৎসার জন্য যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা এই যে, আমি যখন জেল থেকে বের হয় তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার আমার এবং আমার চিকিৎসার খবর নিয়েছেন। তার পাশাপাশি আমার ভারতে যাওয়ার জন্য অনুদান দিয়েছেন তিনি । সেজন্য তার হয়ে আমি জীবন দিতেও রাজি। আমি আওয়ামী লীগের পক্ষে হয়ে জনগনের পাশে আজীবন থাকতে চায়।

এবারের নির্বাচন নিয়ে আপনার ভাবনা কি?
নিম্নলিখিত প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার ভাবনা দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের নমিনেশন আমাকে দিবে আমি শতভাগ আশাবাদী ইন্শাল্লাহ।
আমার নমিনেশন এই নৌকা মার্কা আমার মাথার তাজ , এই নৌকা মার্কাকে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব বিপুল ভোটে স্থানান্তর করা। সর্বশেষে বলি, এই নৌকা মার্কাকে ফেনী সর্বোচ্চ জনগনের ভোটের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিব।
ফেনী -২ নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য আপনার ভাবনা কি?
এই প্রশ্নের তিনি জবাবে বলেন , আমার জীবন জনগনের। জনগনের পক্ষ নিয়ে আমি বলছি , এখন আর আওয়ামী লীগ নেয়, এমপি লীগও আছে। আমি মনে করি , আমি কোনো আওয়ামী লীগ, এমপি লীগ সংগৃহীত ছবি যেটাই বলেন ঐসব দল করবো না , আমি বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সোনার আওয়ামী লীগ করব। আমি যদি দ্বাদশ নির্বাচনে নির্বাচিত হয় তখন আমি ফেনী শহরে এমন ভাবে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করব যেন আমার মৃত্যুর পরেও থেকে যায়। আমি ফেনী শহরে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখব যেন সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালিত হয়।