ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর ঘটেছে হামলার ঘটনা। এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে তিনি হিরো আলমের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন।
আজ সোমবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটসে এ দাবি করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সারা দিন ধরে সুন্দর নির্বাচন হবার পর, নির্বাচন শেষ হবার মাত্র ২০ মিনিট আগে যা ঘটলো তা অনাকাঙ্ক্ষিত, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। যারা মারামারি করলো, তারা আর যাই হোক নৌকার শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না। নির্বাচনকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করা হোক এবং বিচারের আওতায় আনা হোক।
’
এর আগে বিকেল ৩টার পর ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে তাকে ধাওয়া দেয় এক দল যুবক।
হিরো আলমকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একদল লোক ধাওয়া করে মারধর করতে থাকে।
এ সময় হিরো আলম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। মারধর থেকে বাঁচতে এক পর্যায়ে হিরো আলম দৌড়ে পালান। হামলাকারীরা এ সময় তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেয়। হিরো আলম এক পর্যায়ে বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে একটি স্থানে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন। পরে তার গাড়ি সেখানে পৌঁছলে গাড়িতে করে চলে যান।
হামলার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, ‘আমি সারা দিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করছি। বিকেল ৩টা পর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রে কিছু লোক আমার ওপর হামলা চালায়।’
হিরো আলম বলেন, ‘জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায় একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক। আমাকে মারধর করে জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে।’