প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতবার নির্বাচনে হেরেছে, ততবারই চক্রান্ত করে হারানো হয়েছে। জনগণের ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোট চুরি করে আওয়ামী লীগের জিততে হয় না। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে বলেই আওয়ামী লীগ ভোট পায়। যখনই এ দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তখনই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। এটি আমার কথা নয়, কানাডার আদালত এই রায় দিয়েছেন। বিএনপির সন্ত্রাসীরা যারা মানুষ হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস, লুটপাট করেছে, তারা কানাডায় গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিল। তখন তারা বিএনপিকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী দল হিসেবে ঘোষণা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগনের প্রতি বিএনপির কোনো মায়া নেই, মানুষ পুড়িয়ে মারাই তাদের চরিত্র।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর আমাদের মানবাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা বিচার চাইতে পারিনি। তাই আমরা মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করছি।-
আওয়ামী লীগের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শত বাধা অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে বর্তমানে সংকটময় সময় অতিবাহিত করছে বিশ্ব। শুধু বাংলাদেশ না, সারাবিশ্বেই এই সংকট। খাদ্যের যাতে অভাব না হয়, কারো কাছে যাতে খাদ্যের জন্য হাত পাততে না হয় সেজন্য যার যতটুকু জমি আছে আবাদ করতে হবে।
পাঁচ মাসের খাবার কেনার মতো রিজার্ভ এখনও বাংলাদেশে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু থেকে ইতোমধ্যেই ৭শ কোটি টাকা উঠে এসেছে। আর ত্রিশ হাজার ঘর তৈরি করতে পারলেই দেশের কোনো পরিবার গৃহহীন থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা মানবাধিকারে বিশ্বাস করি বলেই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু পরিবারের সব হারানোর পরে আমাদের মানবাধিকারের কথা কে ভেবেছে?