
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মাদ আলী আরাফাত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তিনি আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগে বুধবার (১৪ জুন) রাতে তিনি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হকসহ অনেকেই।
এই আসেন মোহাম্মদ এ আরাফাত ছাড়াও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েয়ছেন গণতান্ত্রিক পার্টির অশোক ধর, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি নেতা মামুনুর রশিদ, জাকের পার্টির রাশেদুল হাসান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল ইসলাম স্বপন, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম ভূইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম, জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থি মেজর (অব.) সিকদার আনিছুর রহমান।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মোহাম্মাদ আলী আরাফাত সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি, আমাদের দল মনে করে, আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ যারা, তারা নির্বাচনে আসুক, থাকুক, এটা আমরা চাই। আমরা নির্বাচন কেন্দ্রিক দল। গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থান যারা নিচ্ছে, তারা নির্বাচনে থাকছে না। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। তারা নেতাকর্মীদেরই নির্বাচন থেকে নিভৃত রাখতে পারছে না। নির্বাচন থেকে দূরে থাকার যে অবস্থান তারা নিয়েছে, তা হবে না। দিন শেষে নির্বাচন জয়ী হবে, গণতন্ত্র জয়ী হবে। নির্বাচনমুখী যারা, তারাই থাকবে। বিএনপিও ঘোমটা পড়ে নির্বাচনে আসবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে টিকিট কনফার্ম কি না, এই প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, তা বলা যায় না। কেননা, মনোনয়ন বোর্ড আছে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, তারা সবাই যোগ্য ছিলেন। আমাদের নৌকাকে আমরা হারতে দেব না। আমাদের নেত্রীকে আমরা হারতে দেব না। আমি মাঠে ঘাটে কাজ করেছি। তবে পর্দার পেছনে ছিলাম।
তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জুলাই।