বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আজ ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আজ ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান - পুরোনো ছবি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আজ ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি দিনটি পালনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মনসুর রহমান ও জাহানারা খাতুনের দ্বিতীয় ছেলে। তার ডাক নাম ছিল ‘কমল’। ছোটবেলা থেকেই লাজুক ও গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন তিনি। বাবার চাকরির সুবাদে জিয়াউর রহমানের বাল্যপাঠ শুরু হয় কলকাতায় হেয়ার স্কুলে। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে বাবার সঙ্গে করাচি চলে যান তিনি।

জিয়াউর রহমান ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯৫৩ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৫৫ সালে কমিশন পান। ১৯৬৬ সালে তিনি কাবুলে পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে ইন্সপেক্টর হন এবং একই বছরের শেষদিকে কোয়েটা স্টাফ কলেজে যোগদান করেন।

১৯৭০ সালের অক্টোবরে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্ব দিয়ে তাকে পাঠানো হয় চট্টগ্রামে।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

কর্মসূচি: মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো ১৮ দিনের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- আলোচনা সভা, পোস্টার প্রকাশ, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, জিয়ার মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ।

এ ছাড়া বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রমনায় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে।

১ জুন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস), ২ জুন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-বিএসপিপি, ৪ জুন শ্রমিক দল, ৮ জুন তাঁতীদল ও ১০ জুন মৎস্যজীবী দল আলোচনা সভা করবে।