সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারের গতি বাড়াচ্ছেন। সেইসঙ্গে প্রার্থীদের গণসংযোগে বাড়ছে ভোটারদের উপস্থিতিও। নির্বাচনের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন গতকাল মঙ্গলবার মালেকের বাড়ি, আউচপাড়া, সফিউদ্দিন রোড, সুরতরঙ্গ ও পথসভা করেন। অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান নির্বাচনী প্রচারে চষে বেড়ান কাউলতিয়া, মাস্টারবাড়ি, ভিম বাজার ও পোড়াবাড়ি এলাকা। এদিন কাউন্সিলর প্রার্থীদের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিন প্রচারে নামার আগে দুপুর নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এর আগে গত সোমবার তার ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে নিজ দল আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন বলেন, নির্বাচনে আমার সঙ্গে অবশ্যই আমার ছেলে থাকবে। আমার ছেলের ওপর যে অন্যায়-অবিচার হয়েছে, ৫৭টি ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা জানাতে চাই। জনগণ আমার ওপর কতটুকু আস্থা রাখে, ভোটের মাঠে তা প্রমাণ হবে। আমি শতভাগ আশাবাদী, মা-ছেলে মিলে যে কাজ করেছি, তা মানুষ মনে রাখছে। তার পরও আমার ছেলের নামে খালি অপবাদ। এ জন্য টেবিল ঘড়ি মার্কায় নগরবাসীর ভোট চাই।
অন্যদিকে সকালে সালনা এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। এ সময় তিনি ভোট প্রার্থনা করে বলেন, রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ নাগরিক সুবিধার জন্য একনেকে অনুমোদনের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, সিটি করপোরেশনের যিনি মেয়র ছিলেন, যার কাছে টাকাগুলো এসেছিল, তিনি যদি পরিকল্পিতভাবে ও সততার সঙ্গে সবাইকে সম্পৃক্ত করে কাজগুলো করতে পারতেন তা হলে অনেক সমস্যার সমাধান এরই মধ্যে হয়ে যেত। গাজীপুর আজ ময়লা-আবর্জনার নগরীতে পরিণত হয়েছে।
পথসভায় আজমত উল্লা খানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাধিক প্রচার টিম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে।
নগরীর গাছা এলাকায় জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন গণসংযোগ করেন। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে প্রথমে সদিচ্ছা থাকতে হবে। সবাই যেন দুর্নীতিমুক্ত থাকে, সে চেষ্টা চালাতে হবে। কথা বলে নয়, কাজের মাধ্যমে এটি করতে হবে।
এ ছাড়া টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহানূর ইসলাম রনি, ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমানসহ অন্য প্রার্থীরা সিটির বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও ভোট কামনা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ইভিএমে। আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে দেশের বৃহত্তম এ সিটির নির্বাচন।