বগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে তার কোনো মন্তব্য ছিল না বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,‘ হিরো আলম নয়, আমার মন্তব্য ছিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে।’
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের উপনির্বাচনে লড়াই করেন হিরো আলম। তবে তিনি মহাজোটের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। হিরো আলমের চমকে দেওয়া এই ফলাফল সারাদেশে আলোচনার জন্ম দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কামরাঙ্গীরচরে এক সমাবেশে বগুড়ার নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল ফখরুলের? ফখরুল ভেবেছিলেন হিরো আলম জিতে যাবে। হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। তারা তো নির্বাচন চান নাই। হিরো আলমকে বিএনপি দাঁড় করিয়েছে। জাতীয় সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্নভঙ্গ।’
এরপর আজ সকালে এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, তিনি হিরো আলম নয়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে কথা বলেছিলেন।
এদিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদের জানাজায় অংশ নেন ওবায়দুল কাদের।
জানাজা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মোছলেম উদ্দিন কর্মী থেকে নেতা হয়েছিলেন, দলের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর চেতনার সৈনিক ছিলেন তিনি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আওয়ামী লীগকেই লালন করেছেন তিনি। তার এমপি হওয়ার মতো শেষ স্বপ্ন শেখ হাসিনা পূরণ করেছেন।’
মোছলেম উদ্দিনের জানাজায় আরও অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘কিভাবে কর্মী থেকে নেতা হওয়া যায়, মোসলেম উদ্দিনের কাছে তা শেখার রয়েছে।’
আরেক আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘চট্টগ্রামের রাজনীতিতে মোসলেম উদ্দিন একজন আইকন বা অথরিটি ছিলেন।’
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোছলেম উদ্দিন মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তার ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন।