বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। ঢাকায় একই কর্মসূচি করবে বিএনপির মিত্র জোট ও দল। এটি যুগপৎ আন্দোলনের পঞ্চম কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় সমাবেশ হবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও এতে বক্তব্য দেবেন।
আরও বলা হয়, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লায়, মির্জা আব্বাস রাজশাহীতে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় খুলনায়, ড. আবদুল মঈন খান বরিশালে, নজরুল ইসলাম খান চট্টগ্রামে, সেলিমা রহমান সিলেটে, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ময়মনসিংহে, ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে মো. শাহজাহান রংপুরে, বরকত উল্লাহ বুলু ফরিদপুরের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
প্রশাসনিকভাবে ৮ বিভাগের বাইরে সাংগঠনিকভাবে কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগের মর্যাদা দেয় বিএনপি।
এদিকে গতকালই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় যৌথ সভা শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১০ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে আন্দোলন চলছে, তাকে নস্যাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে।’
বিএনপি ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যখন ঢাকায় চারটি স্থানে নীরব পদযাত্রা কর্মসূচি করেছে। আওয়ামী লীগও একই সময় ঢাকায় শান্তি সমাবেশ করে। এটি উল্লেখ করে মির্জা বলেন, ‘এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যখনই কর্মসূচি দিচ্ছি, তখনই তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে, সেটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাস করছে।’
যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম এ জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর সরফত আলী সপু রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।