সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিকালে সম্পূর্ণ অবিবেচনাপ্রসূত ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে গণবিরোধী ও আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান মন্তব্য করেছেন।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীতে ঢাকা মহনগরী উত্তর জামায়াত আয়োজিত অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১ নম্বর থেকে শুরু হয়ে শাহ আলী অতিক্রম করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে গাবতলীতে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, নাসির উদ্দীন ও শাহ আলম তুহিন, শূরা সদস্য ডা. মঈন উদ্দীন, আব্দুল মতিন খান, আব্দুল মান্নান ও সাইফুল কাদের ও ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
মাহফুজুর রহমান বলেন, বর্তমান ফ্যাসীবাদী সরকারের আমলে ২০১০ সাল থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ১০ বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০১০ সালের মার্চে প্রথম বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। পরের বছর ২০১১ সালে গ্রাহক পর্যায়ে দুই দফা বাড়ানো হয়েছিল। ২০১২ সালেও খুচরা বিদ্যুতের দাম দুই দফা বাড়ানো হয়।
এরপর ২০১৪ সালের মার্চে বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট করা হয় ৬ টাকা ১৫ পয়সা। আর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তা ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে হয় ৬ টাকা ৩৩ পয়সা। এদিকে ২০১৭ সালে ডিসেম্বরে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়। ২০২০ সালের মার্চে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের গড় মূল্যহার ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এরপর গত ১২ জানুয়ারি সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যা ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে। এতে ইউনিট প্রতি দাম বাড়বে ৩৫ পয়সা। ফলে খুচরায় গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়ে গড়ে দাঁড়াবে ৭ টাকা ৪৮ পয়সা, যা রীতিমতো জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে।
মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকার জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করে রাষ্ট্রশক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে এই আদর্শবাধী, দেশপ্রেমী, গণতান্ত্রিক ও কল্যাণকামী শক্তিকে নির্মূল করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। সে ধারাবাহিকতায় পরিচ্ছন্ন জাতীয় নেতা ও আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে অন্তরীণ করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, জুলম-নির্যাতন ও দলনপীড়ন চালিয়ে অতীতে কোনো আদর্শবাদী শক্তিকে নির্মূল করা যায়নি, কখনো যাবেও না।