গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় গণতন্ত্র মঞ্চ ও ২০ দলীয় জোটের ১১ দলের নেতারা কারাবন্দী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরার বাসায় গিয়েছেন। মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে তারা সান্ত্বনা দেন।
মির্জা ফখরুলের বাসা থেকে বের হওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আইন এখন বেআইনি লোকের হাতে, তাই আইনের সেই মর্যাদা এখন আর নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত বেআইনি লোক আইনকে নিয়ন্ত্রণ করবে, তত দিন এ বাংলাদেশ নিরাপদ নয়।’
সৈয়দ ইবরাহিম দাবি করে বলেন, ‘সরকার বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করব, সরকার অশোভন কাজ থেকে বিরত থাকবে। সবার পরিবারের নিরাপত্তা, ইজ্জত ও সম্মান রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। অথচ বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার কোনো পরিবারের ইজ্জত রক্ষা করছে না। আমরা ব্যথিত চিত্তে স্মরণ করছি, মধ্য রাতে বাড়ি ঘেরাও করে বাতি বন্ধ করে মির্জা ফখরুলের বাড়ির মধ্যে ঢুকেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা’।
এ সময় ইবরাহিম বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির ঘোষিত গণমিছিলে ১১ দল তাদের দক্ষতা-সক্ষমতা অনুযায়ী কর্মসূচিতে অংশ নেবে।’
বিএনপি মহাসচিবকে একজন সাহসী বীরপুরুষ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। আমাদের অবশ্যই তার পরিবারকে অভিনন্দন জানাব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তাহের প্রমুখ।
এর আগে রবিবার বিকেলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় যান গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্য সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, গণ অধিকার পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
তারা যখন মির্জা ফখরুলের বাসায় অবস্থান করছিলেন তখনই জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দল চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তাহের, এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
এ সময় রাজনৈতিক দলের নেতারা বিএনপি মহাসচিবের স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।
গত ৮ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার উত্তরার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে তাকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এর মধ্যে তার জামিনের জন্য কয়েক দফা আবেদন করা হলেও আদালত নামঞ্জুর করে।
সংবাদ সূত্রঃ দৈনিক দেশ রূপান্তর