বিএনপি\’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারব না। দেশের অর্থনীতিকে মেরামত করতে পারব না, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারব না। সে লক্ষ্যে এগিয়ে আসার জন্য সকলকে আহ্বান জানাই।’
তিনি আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন এবং যারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের সকলকে স্মরণ করছি। ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বলতে চাই শহীদ বুদ্ধিজীবীরা এবং এদেশের মুক্তিযুদ্ধারা রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। সেই বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাংলাদেশে নিঃশেষ হয়ে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশের আইনের যে শাসন বিচারালয় এই সরকার তাদের দলের স্বার্থে ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। দলীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্ষমতার টিকে থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মবহির্ভূত যে হুকুম দিয়েছে সেগুলো তামিল করতে গিয়ে আমেরিকা থেকে নিষেধাজ্ঞা পড়েছে। র্যাবের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে দেশের মানুষের কোনো অধিকার নেই, আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, আমাদের মৌলিক অধিকার সবকিছু এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা থাকার জন্য কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সকল অধিকারকে হত্যা করেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতা থাকার জন্য এই সরকার দেশের অর্থনীতি লুণ্ঠন করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, দুর্নীতি করেছে, টাকা পাচার করেছে তাই আজকে বাংলাদেশ অর্থনীতি একটি ধ্বংসের ঠিকানায় চলে গেছে। আজকে আমদানিকারকরা এলসি করতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এই সরকারের অর্থনীতির লুটপাটের কারণে হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হাসান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালে প্রিন্স, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন আলম, আমিনুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
সংবাদ সূত্রঃ মানবকণ্ঠ