আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে। ভোর থেকেই ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।
সমাবেশের স্থান চূড়ান্ত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকেই দলটির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। রাতে দলের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা মাঠ পরিদর্শন করেন। ভোরেই বিএনপিকর্মীদের উপস্থিতিতে মাঠ ভরে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
প্রায় তিন মাস আগে ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি। ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করতে নয়াপল্টনের জন্য অনুমতি চেয়ে গত ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন কমিশনার (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করে বিএনপি। কিন্তু বিএনপিকে ২৬ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে টানাপোড়েন চলে।
বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ব্যাপারে অনড় ছিল। এর মধ্যে গত বুধবার পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজনের মৃত্যুও হয়। এ অবস্থায় গণসমাবেশের স্থান নিয়ে ডিএমপি ও বিএনপির মধ্যে কথা চালাচালি এবং বৈঠক চলতে থাকে। নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও টঙ্গী এজতেমা মাঠ ও পূর্বাচল বাণিজ্যমেলার মাঠও আলোচনায় আসে।
সর্বশেষ পুলিশের পক্ষ থেকে মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এবং বিএনপির পক্ষ থেকে কমলাপুর স্টেডিয়াম প্রস্তাবে আসে। এরপর উভয় পক্ষ দুটি স্থানই পরিদর্শন করে। কিন্তু উভয় মাঠকে ‘অনিরাপদ’ দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে গণসমাবেশ করার প্রস্তাব দেন। সেখানেই গতকাল শুক্রবার ২৬ শর্তে অনুমতি দেয় ডিএমপি।
গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু করে বিএনপি। পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী বিভাগে সমাবেশ করে।