আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগের তীর ছাড়া বিকল্প নিরাপদ জায়গার বিষয়ে মত দিয়েছে বিএনপি। পুলিশ জানতে চাইলে তেমন জায়গার নাম বলতেও রাজি বিএনপি।
আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
গণসমাবেশের জায়গা নির্ধারণ প্রসঙ্গে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, সোহরাওয়ার্দী ও তুরাগ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর মধ্যে যে জায়গায় আমরা নিরাপদ মনে করব, তেমন জায়গা যদি তারা (পুলিশ) আমাদের বলতে পারে, তাহলে আমরা চিন্তা করে দেখব। যদি না পারে আমাদের জিজ্ঞাসা করলে আমরা আমাদের স্থানটা বলে দেব, কোথায় করব।
বিএনপির কোনো পছন্দ আছে কি না -এমন প্রশ্নে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের পছন্দ থাকলেও সেটা যদি আমাদের বলে দেন তখন আমরা বলব। তাই এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
বিএনপি সমাবেশস্থলে বসে পড়বে কিনা- এমন সন্দেহের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বসে পড়ব কেন? আমাদের তো বসে পড়ার কাজ না। আমরা ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সমাবেশ করব। তারপর কর্মীরা চলে যাবে। এইটুকু শান্তিপূর্ণ সমাবেশ তারা করতে দেবে না। তারা ইশরাকের ওপরে হামলা করে।
তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা বাসায় থাকতে পারছে না। আওয়ামী লীগ প্রতিদিন বলছে বিএনপি সন্ত্রাস করে। আমরা করব শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। আমরা কেন সন্ত্রাস করতে যাব? সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
‘একটি সমাবেশে সরকারের পতন হতে পারে না’ জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর এমন মন্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার কেন ভয় পাচ্ছে? সেটা আমার বুঝে আসে না। সরকারের লোকেরা ইশরাকের ওপর হামলা করে প্রমাণ করেছে; তারাই সন্ত্রাস করে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কি বাসায় নিরাপদ না? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আজকে পুলিশ আমার বাসায় ঘিরে রেখেছে- এটা কী? এই দেশ ও জাতি কি একটা সন্ত্রাসী শাসিত হয়ে পড়েছে। এদের (সরকার) কাছে দেশ-জাতি নিরাপদ নয়।
সমাবেশের কার্যক্রমে বাধা না দিতে ও গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষরয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপুসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।