বরিশালের গৌরনদী মডেল থানায় বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনসহ দলের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মামলাটি করা হয়।
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান, পেনাল কোড ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় ইসরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া গৌরনদী উপজেলা বিএনপির নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু, সজল সরকার ও জাফরসহ নামধারী ৭০ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী হয়েছেন রাসেল রাঢ়ী। তিনি গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাহিলারা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শহীদ সরদার বলেন, ‘আমরা ১০-১২ জন সকাল ৬টার দিকে মাহিলারা বাজারের সামনে রাস্তায় অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ ৭০-৭৫টি গাড়ির বহর এসে বাজারের সামনে মহাসড়কে থামে। তখন গাড়ি থেকে ক্যাডাররা নেমে বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। তারা কার্যালয়ের মধ্যে থাকা টিভি ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছবি ছিঁড়ে ফেলে।’
শহীদ আরও বলেন, ‘হামলাকারীরা সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। এ সময় তারা মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ারও চেষ্টা করে। তারা মাহিলারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলাস কবিরাজকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ছাড়াও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সঙ্গীত সিকদারসহ আরও দুজন আহত হয়েছে।’
তবে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা-তুজ-জোহরা মিতু বলেন, ‘বরিশালে গণসমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলাকারীরা বহরের আটটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।