পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন দলের কেউ না হওয়ায় তার বক্তব্যের দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না।
আজ শনিবার (২০ আগস্ট) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির আয়োজনে ১৫ আগস্ট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, ভারত নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য আওয়ামী লীগের দলীয় বক্তব্য নয়। কোনো দেশের সমর্থনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা নির্ভর করে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা অনুরোধ করেছি।’
তার এমন বক্তব্যের পর দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর পলাশীতে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আরেক মন্ত্রী ও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কীভাবে এ কথা বলি? এতে করে ভারতও লজ্জা পায়।’
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের সুসময়ের বন্ধু। একাত্তরের রক্তের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ। কিন্তু তাই বলে আমরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করব, এ ধরনের কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি, শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, যিনি এ কথা বলেছেন, এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। এটা আমাদের সরকারেরও বক্তব্য নয়, দলেরও নয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে কেবল সরকার বা আওয়ামী লীগই বিব্রত না, বাংলাদেশের কোটি কোটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ আজ বিব্রত। তিনি তার বক্তব্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন। আমি মনে করি তার বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে, কথা বলার ক্ষেত্রে সরকারের একটা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বড়বড় কথা বলছেন, সন্ত্রাসীর মতো বক্তব্য ও হুমকি দিচ্ছেন, তাহলে হুমকি যখন দিচ্ছেন, এখন কেনো ভারতের কাছে সরকার টিকিয়ে রাখতে আহ্বান জানান? পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিতে হবে বর্তমান সরকারকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতের সরকারকেও এর জবাব দিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘তাদের বক্তব্য প্রমাণ করে ভারতের আনুকূল্যে (সরকার) টিকে আছে।’