আমার পাড়ায় কোরবানির মাংস দেওয়ার মানুষ পাইনি: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামে আগে দেখতাম কোরবানি করে না এমন মানুষ থাকতো। ইসলাম ধর্মের রীতি মাফিক যারা পশু কোরবানি দেন না, তাদের মধ্যে মাংস বিলিয়ে দিতে হয়। আমার গ্রামে অর্থাৎ আমার পাড়ায় আমি মাংস বিলিয়ে দেওয়ার জন্য মানুষ পাইনি। পাশে অন্য জায়গায় নিয়ে গেছি মাংস বিলিয়ে দেওয়ার জন্য।

আজ বুধবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘এক নজরে বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ মোড়ক উন্মোচন শেষে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পত্রিকায় নিউজ এসেছে— গত বছরের তুলনায় ৮ লাখ বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। তবে কোরবানির চামড়ার মূল্য কম হওয়ার কারণে চামড়া অনেকে পুঁতে ফেলেছে, এমন ঘটনা ঘটেছে। চামড়ার মূল্য কম হওয়ার কারণে যারা খুচরা ক্রেতা আছেন তারা অনেকে কিনতে যায়নি। আমি গ্রামের বাড়িতেই কোরবানি করি। আমার গ্রামেও গত বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানি বেশি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা চামড়া সংগ্রহ করেছে তাদের পরিসংখ্যান ভুল হতে পারে। কারণ চামড়া সংগ্রহ কম হয়েছে। তাদের পরিসংখ্যান দিয়ে কোরবানি পশুর পরিসংখ্যান করা যাবে না। চামড়া যারা ব্যবসা করে তাদের কাছে চামড়ার পরিসংখ্যান কমই থাকবে। কারণ চামড়ার সংগ্রহ যেভাবে হওয়া প্রয়োজন ছিল, ঠিক সেভাবে হয়েছে বলে আমি মনে করি না। কারণ চামড়ার দামটা অনেক কম।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সবসময় বিদেশিদের কাছে ছুটে যায়। বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে, বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার কাছে তাদের দৌড়ঝাঁপ করে। এ দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। এ দেশের জনগণই ক্ষমতার মালিক এবং তারাই প্রতিনিধি নির্বাচন করে। এ দেশে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রদূত কিংবা কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি কাউকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানোর অধিকার রাখে না। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের নাক গলানো সমীচীন নয়। গলাতে না চাইলেও বিএনপি তাদের নাকটা নিয়ে ওদের কাছে যায়। এটি দেশকে ছোট করার শামিল। আমি বিএনপিকে অনুরোধ করবো, বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ না করে জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য।