বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন। তিনি এখন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন। তার কথাবার্তা তো একটু শালিন ও ভদ্র হওয়া দরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথা যদি গুন্ডা-পান্ডা ও হিংস্র সন্ত্রাসীর মতো হয় তখন কেমন লাগবে, এটা তো ভালো লাগার কথা না।
রিজভী বলেন, ‘তাহলে দেশ কারা চালাচ্ছে। আমরা তো সবসময় বলছি এ দেশ লুটেরারা ও মাফিয়ারা চালাচ্ছে। মাফিয়াদের কথা হলো তাই। আজকে পদ্মা সেতুর কথা বলা হচ্ছে। পদ্মা সেতু কি আপনার পৈতৃক টাকায় করেছেন? আমার আপনার প্রত্যেকের ট্যাক্সের টাকায় করেছেন।‘
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা-৮ এবং ঢাকা-৯ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসসহ অসুস্থ নেতাকর্মীদের আরোগ্য কামনায় সেখানে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের খন্দকার এনামুল হক এনাম প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আজকে আপনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা তো পাড়া-মহল্লার গুন্ডা-পান্ডা ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কথা। আজকে আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জনকারী ড. ইউনূসকে পদ্মা নদীতে চুবাতে চান! অথচ সেই ইউনূসকে বিশ্বের বহু রাষ্ট্র নিমন্ত্রণ দিয়ে সেতুসহ অন্যান্য স্থাপনা উদ্বোধন করেছে।
তিনি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর কথা যদি এই হয়- তাহলে দেশের অন্যতম বৃহৎ লালন শাহ সেতু, কুমিল্লার গোমতী সেতু, যমুনা সেতু এসব করেছে তো বিএনপি। কর্ণফুলি পয়েন্টে সেতু তো করেছেন খালেদা জিয়া। তার আমলেই ভিত্তি ও উদ্বোধন। এখন যদি নিয়ম হয় আমার আমলে সেতু তাই আমি বিরোধীদের টুস করে ফেলে দেব। তাহলে ওইসব সেতু যারা করেছে তারা ক্ষমতায় আসলে আপনাকে যদি টুস করে নদীতে ফেলে দেয়!
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আপনি যে সিস্টেমের কথা বক্তব্যে বলেছেন তা নারী বিদ্বেষী বক্তব্য। তিনি দেশের একজন জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আর আপনি নিশিরাতের ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রী। আপনি রাতের বেলায় ভোট করেন। আমরা আপনার বক্তব্যের শুধু নিন্দা জানাবো না। ঘৃণা জানাচ্ছি।