শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একজন মানুষ না খেয়ে মারা গেছে এমন প্রমাণ দেখাতে পারলে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাগ-বানিয়াজুরি এলাকায় ব্রি ধান ৯২ জাতের বীজ উৎপাদনকারী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
দেশে খাদ্যশস্য যথেষ্ট আছে, কোন হাহাকার নেই উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারই কৃষক ও কৃষিবান্ধব সরকার। বাংলাদেশের ইতিহাসে কৃষিতে যত উন্নয়ন হয়েছে তা এই সরকারের আমলে হয়েছে।’
বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির ফখরুল ইসলাম প্রতিদিন টেলিভিশনের সামনে মিথ্যাচার করছেন। তার বক্তব্য- বাংলাদেশ ডুবে গেল, বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরল। অথচ ২০০৩-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। সে সময় প্রতি বছর শত-শত মানুষ আশ্বিন-কার্তিক মাসে মঙ্গার কারণে না খেয়ে মারা গেছে। এই ১৩ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একজন মানুষ না খেয়ে মারা গেছে এই তথ্য যদি কোন সাংবাদিক দেখাতে পারে, তাহলে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।’
ব্রি ধান ৯২ জাতের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘এই ধানের চাল চিকন। এ যাবত সবচেয়ে বেশি উৎপাদনশীল ৯২ জাতের ধান। কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রতি শতকে কমপক্ষে এক মণ ধান পাওয়া যায়। দেশের উন্নয়নে শিল্প-কারখানা হতে হবে, তবে তা কৃষিজমি নষ্ট করে নয়। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছি। ‘৭১-এর যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশে ছিল সাড়ে সাত কোটি মানুষ। জমি ছিল মাথাপিছু ২৮ শতাংশ। এখন সতেরো কোটি মানুষ, জমি মাথাপিছু ১০ শতাংশ।’
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ, উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হামিদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন, বানিয়াজুরি ইউপি চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।