তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আসলে কোনো ইস্যু পাচ্ছে না তো। খড়কুটো আঁকড়ে ধরে তারা তাদের রাজনীতিটাকে টিকিয়ে রাখতে চায়। যারা পুরুষ হয়ে বোরকা পরে হাইকোর্টে গিয়ে জামিন চায়, তারা যখন সরকার পতনের আন্দোলনের কথা বলে তখন মানুষও হাসে, বানরও হাসে। তাদের এই খালি কলসি বেশি বাজার মতো কথা আমরা বহুদিন ধরে শুনে আসছি।
আজ রোববার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নিয়মিত বৈঠকের শুরুতে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদসহ ট্রাস্টের সদস্য এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ড. হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিকরা এ সময় বিএনপির মোর্চা গঠন নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের মোর্চা তারা ২০১৮ সালের আগেও করেছিল। বাম-ডান, অতিবাম-অতিডান-তালেবান সবাইকে নিয়ে তারা মোর্চা করেছিল, নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিল। সেই মোর্চার মাধ্যমে ফলাফল মাত্র ৫টি আসন। এবারও তারা মোর্চা করার চেষ্টা করছে, প্রেসিডেন্ট আছে তো সেক্রেটারি নেই, দুইজন নিয়ে দল। সেগুলো নিয়ে তারা মোর্চা করার চেষ্টা করছে। তারা চেষ্টার মধ্যে থাকতে পারে। তবে এই চেষ্টায় কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, পতনের আন্দোলন তো বিএনপি ২০০৯ সাল থেকেই শুরু করেছে। এরপর জনগণ আরও দু’বার ভোট দিয়ে আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে এবং তাদের এই হুমকি-ধামকির মধ্যেও আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদের বিজয়ের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে, সেটি আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
নিত্যপণ্যমূল্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইউরোপ, আমেরিকাসহ সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। ইউরোপে খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। আমাদের দেশেও আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বল্প আয়ের এক কোটি পরিবারকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন এর বাইরেও শহরে ট্রাকে করে স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বাজারেও প্রভাব পড়েছে। যে পণ্যগুলোর মূল্য বেড়ে গিয়েছিল, সেগুলো আস্তে আস্তে কমে এসেছে। তেল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যও কমেছে।
এ সময় দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে সোনালি ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নেবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। বলেন, জাতির পিতার হাত ধরে ১৯৫৭ সালে যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেটিকে শিল্প ঘোষণা করে এর উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
হল নির্মাণ ও সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকার সহজতম ঋণ তহবিল ও চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন ও ফিল্মসিটি নির্মাণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রমজানের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় এ বছর দিবসটি অনাড়ম্বরভাবে এফডিসিতে পালিত হচ্ছে। চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরে আসছে, শিল্পটি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের চলচ্চিত্র আবার স্বর্ণালী দিন পাবে এবং বিশ্ব অঙ্গনে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হবে, আশাপ্রকাশ করেন তিনি।