নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে পদ হারানো সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি চাচার জানাজা নামাজে অংশ নিতে দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে এসেছেন। গতকাল শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে ডা. মুরাদ হাসানের চাচা সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমিনুর রহমান তালুকদারের জানাজা নামাজে অংশ নিতে নিজ গ্রাম সরিষাবাড়ির দৌলতপুরে যান তিনি। সরিষাবাড়ির উপজেলার দৌলতপুর অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান তালুকদার কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজা নামাজে অংশ নেন ডা. মুরাদ হাসান এমপি।
জানাজা নামাজ শেষে তার চাচা মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান তালুকদারকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মুরাদ হাসানের বড় ভাই বিচারপতি মাহমুদুল হাসান তালুকদার, সরিষাবাড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন পাঠানসহ আরও অনেকে।
এ সময় সাংসদ ডা. মুরাদ হাসান এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে কোনো রাজাকার জন্মগ্রহণ করেনি। কিন্তু জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়ন ব্যতিক্রম। এখানে একটি রাজাকারও জন্মগ্রহণ করেনি। এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি এবং সেই পবিত্র মাটি।’
নানা বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে গত ৭ ডিসেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান। এরপর থেকে সবার আড়ালে চলে যান তিনি। গত ৯ ডিসেম্বর কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন ডা. মুরাদ হাসান। কিন্তু কানাডায় ঢুকতে না পেরে ১২ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসেন তিনি। এদিকে ৬ জানুয়ারি ৯৯৯ এ ফোন করে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেন তার স্ত্রী জাহানারা এহসান। পরে এ ঘটনায় তিনি ধানমন্ডি থানায় জিডি করেন।