উন্নয়নকে স্বীকার না করা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের শামিল : ওবায়দুল কাদের

উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে স্বীকার না করা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, ‘দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বীকৃতি দিলে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ হয়। উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে অস্বীকার করাও এক ধরনের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের শামিল। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিএনপি এতই অন্ধ যে, কোনো উন্নয়ন ও প্রগতি তাদের চোখে পড়ে না।’

সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ‍বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মাইলফলক স্পর্শকারী বাংলাদেশের অসংখ্য প্রাপ্তি বিএনপি নেতাদের চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে জাতিদ্রোহী-দেশদ্রোহীদের যেমন গাত্রদাহ হয় ঠিক তেমনি দলটির নেতাদেরও সহ্য হয় না। রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার কারণে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত সাফল্যে বিচলিত দলটি। দেশের সাফল্যকে তারা নিজেদের পরাজয় মনে করে। এমনকি সত্যকে স্বীকার করার সাহস পর্যন্ত রাখে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার জিয়া-মোশতাকের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করার গভীর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির উত্তরাধিকার এবং একাত্তরের ঘাতক-যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি ও তাদের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামের হতাশা এবং মর্মবেদনাই গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ বিকাশের প্রধান অন্তরায়।

তিনি আরও বলেন, সমগ্র জাতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ মহা-আড়ম্বরে উদযাপন করেছে। এমন একটি সময়ে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে কোনো ইতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচি তুলে না ধরে চিরাচরিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাকর। আমরা এই ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের রাজনীতি পরিত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঠিক ও সুস্থ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানাই।