রাজধানীতে একটি স্মরণসভায় বক্তৃতার সময় বারবার নিষেধ করার পরও দলীয় নেতাকর্মীদের হট্টগোলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষুব্ধ হয়ে ডায়াস থেকে চলে যান। সবাই চুপ করলে পরে তিনি ফিরে এসে বক্তব্য শেষ করেন।
রাজধানী ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আজ শনিবার বিএনপির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় হাজির হয়েছিলেন হাজারো নেতাকর্মী। সভা শুরুর পর নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার সময়ও কর্মীরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতেই থাকেন। পেছনের দিকে এবং মূল মঞ্চের দুই পাশে কর্মীরা সারাক্ষণ কথা বলে যান।
এ নিয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য দিতে এসে কর্মীদের কানাঘুষা ও কথা বলা বন্ধ করতে বলেন। এরপরও কতিপয় কর্মী তাতে কর্ণপাত করছিলেন না। এক পর্য়ায়ে নেতারা বলেন, ‘কথা শুনতে না চাইলে কক্ষের বাইরে চলে যান অথবা আপনারা মাইকে এসে কথা বলেন, আমরা মঞ্চে বসে শুনি।’
এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময়ও সৃষ্টি হয় একই অবস্থার। হট্টগোল দেখে মহাসচিব বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে আমরা কেন এরকম সভায় আসি, সেটা বোধহয় আমরা নিজেরাও জানি না। এটা একটা স্মরণসভা, এমন একজন নেতার যিনি আমাদের অতীতে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পথ দেখিয়েছেন এবং সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। তার স্মরণ সভায় এসে আমাদের এ সমস্ত সমস্যা সামাধান করতে হয়।’
বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কীভাবে কথা বলবেন। দেখুন এখানে ইয়াং ছেলেরা আছে, তরুণরা আছে। হয় তারা ছাত্রদল, না হয় যুবদল, না হয় স্বেচ্ছাসেবক দল অথবা মহানগরের নতুন কমিটির ছেলেরা। তারা তো এখানে কথা শুনতেই আসেনি। অনেকে বহুবার বলেছেন এখানে। কিন্তু আমরা কেউ কর্ণপাত করছি না। আমাদের এ কান দিয়ে ঢুকে ওই কান দিয়ে বেরিয়ে যায়।’এসময় ডানদিনে হট্টগোলকারীদের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘ওইখানকার সমস্যাটা কী? হোয়াট ইজ প্রবলেম দেয়ার। এভাবে আমি কথা বলব না।’
পরে আবার ডায়াসে এসে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আবারো বলছি আপনারা মিটিং শুনতে আসেন, উনাকে স্মরণ করতে চান তাহলে দয়া করে শান্ত হয়ে থাকেন। তা না হলে আমাদের এখানে থাকার দরকার নাই, কোনো প্রয়োজন নাই। আমি বলতে চাই, এভাবে কিছু হয় না। বিশেষ করে আমাদের তরুণ যুবক, ছাত্র-যুবদল তাদের প্রতি আহবান জানাতে চাই- আসুন আপনারা নিজেরা কিছু জানুন এবং নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। তা না হলে কোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব হবে না।’