রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। খালেদা জিয়ার শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাকে হাসপাতলে নেয়া হয়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার শরীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। এজন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের হাসপাতালে আসার খবরে আগ থেকেই সেখানে জড়ো হন দলের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ভিড় সামলাতে হাসপাতালের ভেতর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থানের সময় গত এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। কভিডপরবর্তী জটিলতায় গত ২৭ এপ্রিল খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস সিসিইউতে ছিলেন। পরে ১৯ জুন মেডিকেল বোর্ড বাসায় নিয়ে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে ছাড়পত্র দেয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এই মামলায় বন্দি থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পান তিনি। আগের মামলায় হাইকোর্টে আপিল করার পর সাজা হয় দ্বিগুণ। ফলে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন নিয়ে যাওয়ার পর বিশেষ বিবেচনায় মানবিক কারণে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়া হয় তাকে। পরে দফায় দফায় এই মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়।