কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই মুক্তিযুদ্ধ আর শেখ হাসিনার নামে সংগঠন খুলতে। এমনটাই দাবি ’আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ’ সংগঠনের নেতাদের। তাই তারা গত ১৪ বছরে মূল দলের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রকৃত তারিখ নেতারা নিজেরাই জানেন না। এরপরও ১২ বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ। সকালে পুলিশ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এমনই এক নামসর্বস্ব সংগঠনের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।
বিভিন্ন পক্ষের প্রশ্রয়ে অবস্থা এতোটাই খারাপ যে, সকালে মূল দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা থাকারও পরও নিজেদের অনুষ্ঠান চালানোর ঘোষণা দেন প্রজন্ম লীগের নেতারা। সংগঠনটির এক নেতা বলেন, অনুমতি দিলো কি দিলো না, তাতে নাকি তাদের কিছুই যায় আসে না। তারা ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিক’ তাই পরোয়া করেন না এসব আনুষ্ঠানিকতার। একই সংগঠনের অন্য এক নেতার যুক্তি আরও ভয়াবহ। তিনি দাবি করেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য অনুমতি দরকার হয়নি কারো, তাই অনুমতির দরকার নেই তাদেরও।
অনুষ্ঠান সফল করতে ট্রাকভর্তি করেও কর্মী নিয়ে আসেন সংগঠনের নেতারা। তবে সংগঠন নিয়ে নানা হুমকি ধামকি দিলেও পুলিশের হস্তক্ষেপে হঠাৎ পাল্টে যায় দৃশ্যপট। মাত্র পাঁচ মিনিটে গুটিয়ে ফেলা হয় সকল আয়োজন।
ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন হলে আওয়ামী লীগের সমাবেশের জন্য আওয়ামী লীগের অনুমোদন তো লাগবেই। তা তারা নেয়নি। এমনকি পুলিশকেও এ ব্যাপারে আগে থেকে কিছু জানায়নি তারা।
এই আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয় সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকেও, ভুঁইফোড় এমন সংগঠনের কোনো অনুমোদন নেই বলে জানান মূল দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ ধরনের সংগঠন আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। আর চাঁদাবজির জন্য এমন দোকান অনেকেই খুলে থাকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নাম সর্বস্ব এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।
সংবাদ সূত্রঃ যমুনা নিউজ