সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অভিনেত্রী পরীমণি প্রসঙ্গে মন্তব্য করে ফেনীর আলোচিত রাজনীতিবিদ জয়নাল হাজারী ফের আলোচনায় এলেন। সম্প্রতি এই অভিনেত্রী সাভারের বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে জয়নাল হাজারী এ ঘটনার জন্য পরীমণিকেই দায়ী করেন।
ফেসবুকে পরীমণিকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, ‘মেয়েটা বোট ক্লাবে না গেলে এ ঘটনা ঘটতো না। তাকে যদি ধর্ষণ করা হয় বা নির্যাতন করা হয়, তা তার দোষেই হয়েছে। সে তো জানে ওই ক্লাবে কী হয়। মদ খাওয়া হয়, জুয়া খেলা হয়। আমি যদি জেনে-শুনে বাঘের মুখে পড়ি, বাঘ তো আমাকে খাবেই। সাপের গায়ের ওপর পা দিলে তো কামড়াবেই। এটা তো জানা কথাই, তাহলে সে কেনো গেলো। মূলত এ ঘটনার জন্য আমি তাকেই অপরাধী মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘একটি কথাতেই সব শেষ হয় যে, এই মেয়ে বোট ক্লাবে গিয়েই অপরাধ করেছেন। তিনি বোট ক্লাবের ঘটনার পর থানায় গিয়েছিলেন মামলা করতে। তবে পরীমণি অসংলগ্ন, মাতাল ছিলেন বলে সেই মামলা নেননি থানার ওসি সাহেব। আমার প্রশ্ন, সে যদি মাতাল হয় তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তাতার করে হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করার নিয়ম; কিন্তু তখন তা কেন করা হলো না।’
এ মন্তব্যের বিষয়ে ফেনীর স্থানীয় রাজনৈতিকরা মনে করছেন, রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাওয়া জয়নাল হাজারী সব সময় আলোচনা-সমালোচনায় থাকতে পছন্দ করেন। এই কারণেই তার এমন ফেসবুক ভাষণ। এ বিষয়ে ফেনীর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা জানান, ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক তরুণীকে প্রকাশ্যে নিপীড়নকারী যুবকদের পক্ষ নিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন এই রাজনীতিবিদ।