সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোটভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা এবার মৃত্যুর আগে তিন ভাগিনাসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিজের জানাযায় অংশগ্রহন না করতে অছিয়ত করেছেন। পানি হাতে শপথ করে বলেন, প্রথমে আমার ভাগিনা তিনটা ও বাদল, তারা যেন আমার জানাযায় না আসে, আর তারা যদি আমার আগে মারা যায়, আমিও তাদের জানাযায় যাবনা। কেন যাবনা এটা পরবর্তী পর্যায়ে বলবো।
গতকাল মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেল ৪ ঘটিকায় কাদের মির্জা উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের প্রগতি ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ জামাল সবুজ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই অছিয়ত করেন।
তিন ভাগিনারা হলো, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত ও রামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালেকীন রিমন। এই তিন ভাগিনা কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বে কাদের মির্জার শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে ভূমিকা রাখে। তিনজনই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
তিনি আরো বলেন, আমি ভোট চোরের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, চাকুরি বানিজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, এটাই আমার অপরাধ, এই অপরাধেই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্রভাবে মাঠে নেমেছে তারা। কেউ যদি অতিতের ভূল ত্রুটি থেকে ফিরে এসে আমাদের সাথে একাত্বতা পোষণ করতে চায় দরজা খোলা রয়েছে তবে যোগ্যতা দিয়ে নেতা হতে হবে। অ, আ, ই, ঈ থেকে শুরু করতে হবে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসকান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাছের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আহমদ, নোয়াখালী জেলা ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি তাশিক মির্জা, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাজী নেয়ামুল হক রঞ্জু প্রমুখ।