আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাতে দীর্ঘ কয়েক মাসের বিরুদ্ধাচরণ ভেঙে বোল পাল্টে ফেলেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। বড় ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে লাইভে এসে তিনি বলেছেন, আসলে আমার পারিবারিক যে কথাগুলো বলেছি, নিতান্তই ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে বলেছি। এ কথাগুলো বলতে গিয়ে আমি অনেকের ক্ষোভের পাত্র হয়েছি। আমি লাইভে এসেছি, যারা আমার কথায় নিজেদের মনে আঘাত এনেছেন বা আঘাত লেগেছে আমি সকলের প্রতি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।
গতকাল শনিবার (২২ মে) রাত ১০টার দিকে বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঢাকায় সাক্ষাৎ শেষে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, রাজনৈতিক বিষয়ে টুকিটাকি কথা হয়েছে। আমার পারিবারিক বিষয়টা মূখ্যস্থান পেয়েছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাকে বলেছেন, তুমি কিছু কথাবার্তা বলেছো, আমি এটা নিয়ে একদিনও কোথাও আলোচনা করিনি। কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে। আমি বলেছি, সে একদিন ভুল বুঝতে পারবে। এ কথাটায় অত্যন্ত আবেগময় পরিবেশে বলেছে।
তিনি বলেন, উনি আমাকে রাজনৈতিক বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, যারা তোমার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায়, তাদের নিয়ে তোমরা কর্মকাণ্ড শুরু করো। সব গোছানোর পর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, তুমি প্রথমে তোমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করো। এখন আমি ওনার সিন্ধান্ত মোতাবেক চিকিৎসার বিষয়টা গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের কয়েকটা ছেলে জেলে আছে, তাদের মুক্তির বিষয়ে কথা বলেছি। উনি বলেছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
শনিবার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে আবদুল কাদের মির্জা বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের ঢাকার ধানমন্ডির ব্যক্তিগত অফিসে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা নিজ ফেসবুকে বড় ভাইকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দিয়ে- সব গ্লানি ভুলে শান্তির কোম্পানীগঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে একত্রিত হতে আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, তদবির বাণিজ্য, অপরাজনীতির বিষয়ে নানা বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনায় ও সমালোচনায় আসেন কাদের মির্জা। নানা সময় কাদের মির্জা বড় ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট ইশরাতুন্নেছা কাদেরের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন তীর্ষক মন্তব্য করেন। কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সাংবাদিক মুজাক্কির ও শ্রমিক লীগ আলা উদ্দিনের প্রাণহানি ঘটে।