করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট থাকায় অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে তাকে। তবে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ ঙ্গলবার (৪ মে) সকালে শ্রমিক দল আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সোমবার (৩ মে) রাতে বেগম জিয়ার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় ওনাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। উনি এখনো সিসিইউতেই আছেন। এখন অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। বেগম জিয়া এখন স্থিতিশীল আছেন।
বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ফোন করেছেন মির্জা ফখরুল-এমন গুঞ্জন ওঠে সোমবার রাতে। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে গুঞ্জনটি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে কোনো আবেদন বা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা ফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে বৈঠকে বসেছেন তার চিকিৎসকরা। ১০ সদস্যের এ চিকিৎসক দলের বৈঠকের পরই তার বর্তমান অবস্থা ও পরবর্তী চিকিৎসা সম্পর্কে গণমাধ্যমেকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসা থেকে রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় চিকিৎসক টিম গঠন করে অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন পার হওয়ার পর আবারও খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষা করা হয়; কিন্তু ফল করোনা পজিটিভ আসে। পরে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।