খালেদা জিয়ার সঙ্গে জুনায়েদ বাবুনগরীর গোপন বৈঠক হয়েছিল

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের কর্মসূচির আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংগঠনটির অন্যতম নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীর গোপন বৈঠক হয়েছিল। শাপলা চত্বরে তাণ্ডব স্থায়ী হলে বিএনপি-জামায়াত তাতে যোগ দেবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি সফল করতে অর্থের যোগানদাতাও ছিলেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। হেফাজতের সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতেও উঠে এসেছে এসব কথা।

গেল ১৪ এপ্রিল লালবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজতের সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামকে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনেরও চেয়ারম্যান। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ফখরুল।

জিজ্ঞাসাবাদে হেফাজতের এই নেতা পুলিশকে দিয়েয়েন চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচির আগে দফায় দফায় বৈঠক হয় বিএনপির সঙ্গে।

বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও এক জামায়াত নেতার সঙ্গে হেফাজত নেতাদের বৈঠক হয়েছিল। খোকার বাসা ও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসে ওই বৈঠক হয়। সেখানে হেফাজত নেতাদের টাকা-পয়সা দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয়, তাদের ১৩ দফা বাস্তবায়ন না হলে সরকার পতনের আন্দোলন করা হবে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, \’ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদে হেফাজতের সাথে কার কার কথা হয়েছে, কারা কারা তাদেরকে অর্থ সহযোগিতা করেছে এবং শাপলা চত্বরে বসে যাওয়ার কারা কারা তাদের সাপোর্ট দিয়েছিল এই বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে।\’

২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে হেফাজত নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীর গোপন বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনা হয়- শাপলা চত্বরে কর্মসূচি স্থায়ী হলে বিএনপি-জামায়াত তাতে যোগ দেবে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, \’২০১৩ সালে হেফাজত যে তাণ্ডব চালিয়েছিল। তখন সরকারের বিরুদ্ধে বড় একটি ষড়যন্ত্র ছিল। সেই ষড়যন্ত্রে কারা অংশগ্রহণ করেছে সে কথাও উঠে এসেছে। তখনকার জাতীয়তাবাদী দলের সাথে দলের চেয়ারপার্সন সহ অনেকের সাথে বাবু নগরীর মিটিং হয়েছিল।\’

তবে বিএনপি বলছে, আদালতে প্রমাণ হওয়ার আগে গণমাধ্যমে কিছু আসলে তার দায় নেবে না দলটি।

জিজ্ঞাসাবাদে ফখরুল পুলিশকে আরও জানান, বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের কর্মীরা সেদিনের হেফাজতের তাণ্ডবে জড়িয়ে ছিল।

Scroll to Top