বিজেপিতে যোগ দেয়া নিয়ে মিঠুনকে তসলিমার কটাক্ষ

বিখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিঠুনকে একহাত নিলেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘নানান ঘাটের জল খাওয়া সাপ খোপ নিয়ে বিজেপি কী করবে সেটাই ভাবছি। সাপ, তাও আবার পদ্ম গোখরা, কাকে ছোবল মারতে গিয়ে কাকে মারে, কে জানে! কেন যে বেচারারা কেঁচো খুঁড়তে গিয়েছিল!\’

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সদস্যও করা হয় তাকে। এক সময় শাসকদলের হয়ে ভোটের প্রচারেও দেখা গেছে মিঠুনকে। বছর পাঁচেক আগে একটি চিটফান্ড মামলায় নাম জড়ায় মিঠুনের। একটি অর্থলগ্নি সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ ওঠার কিছুদিন পরই রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান মিঠুন।

ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের শেষদিকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ত্যাগ করেন ‘মহাগুরু’। তারপর বেশ কিছুদিন রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। তবে, বাংলার নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মিঠুনকে দলে টানার একটা চেষ্টা গেরুয়া শিবিরের তরফে করা হয়। বর্ষীয়ান অভিনেতার সঙ্গে দেখা করেন খোদ আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তারপর থেকেই মিঠুনের বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ে মোদির ব্রিগেড সমাবেশে।

ইতিমধ্যেই ‘ওয়াই প্লাস’ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে মিঠুনের জন্য। তার আগে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের ফেসবুক লাইভে, \’আমি গোখরো, এক ছোবলে ছবি” মন্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেছিলেন, “দিস ইজ নট ফিজিক‌্যাল অ‌্যাট অল। আমি বলতে চেয়েছি যারা বাংলার রাজনীতিতে আছেন, তাদের এ সময় খুব সতর্ক থাকতে হবে। বাংলা কিন্তু জেগে উঠেছে। এ সময় হয় ঠিকঠাক কাজ করতে হবে বা পোস্টার হয়ে যেতে হবে।\’

পরোক্ষে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কথা বলে আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তসলিমা।

তসলিমা লিখেছেন, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই করুণ অবস্থা দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। ভিড়ের মধ্যে শুনেছি, কিছু লোক তাকে আক্রমণ করেছে। গোড়ালির হাড়, লিগামেন্ট, ডান কাঁধ, সবখানে আঘাতের চিহ্ন। আমাদের ভোলা উচিত নয় যে পুরো ভারতে তিনিই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পুরুষ নন। তিনি চান বা না-চান, এই পুরুষের সমাজে তার দ্বিগুণ নিরাপত্তা দরকার।’

Scroll to Top