বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে (৭৩) পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে বসুরহাট পৌসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার ছোট ভাই সাহাদাত হোসেনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৮ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খিজির হায়াত খান এ হামলার শিকার হন।
কাদের মির্জার ভাগিনা ও খিজির হায়াত গ্রুপের অন্যতম নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত জানান, মেয়র কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরোধীতা করতেন খিজির হায়াত খান। এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটান কাদের মির্জা। খিজির হায়াত খান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার শিকার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একা অবস্থান করছিলাম। তখন মেয়র কাদের মির্জা অফিসে এসে প্রথমে কলার ধরে আমাকে লাঞ্ছিত করেন ও মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা তার শতাধিক সমর্থকসহ কলার ধরে রাস্তার নিয়ে এসে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। আমাকে এমন ভাবে পেটালেন যেন আমি একজন পকেটমার বা চোর। এ সময় আমি থানা পুলিশকে জানালেও তারা আমাকে কোনো সহযোগিতা করেননি। ’
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার আবদুল কাদের মির্জার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি নিজে ফোন ধরেননি।
তবে মির্জা কাদেরের ছোট ভাই সাহাদাত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খিজির হায়াত খান নিজে তার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দিচ্ছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনির কাছে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।