বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন যে, ছাত্রদলের ১৩ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করে তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, \’একদিকে বিক্ষোভ বানচাল করার জন্য উন্মত্ত পুলিশের বেপরোয়া লাঠিপেটায় রক্তাক্ত করা, অন্যদিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড নামক টর্চারিং মেশিনে ঢুকিয়ে ছাত্রদল নেতাদের নির্যাতনের যে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা নজিরবিহীন। ক্ষমতার উন্মাদনার মধ্যে থাকতে চায় বর্তমান আওয়ামী সরকার। বোধ, বুদ্ধি, বিবেচনা, মানবিকতা সব কিছু বিসর্জন দিয়ে এক নিষ্ঠুর মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছে তারা।\’
রিজভী আরো বলেন, \’গ্রেপ্তারদের মধ্যে গত পরশুদিন সন্ধ্যার পর ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য আনিসুর খন্দকার অনিক, এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার জিসান এবং সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রদলের কর্মী আতিক মোর্শেদকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে দীর্ঘ সময় অস্বীকার করেছে কেবল তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করার জন্য।\’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, \’সোমবার রাতে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে পুলিশ ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সদস্য সজীব রায়হানকে বাসায় না পেয়ে তার তিন ভাই জুয়েল, সোহেল ও সুমনকে অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে গেছে। এই ঘটনা আওয়ামী বাহিনীর আরেকটি নির্মম ও দুঃসহ দৃষ্টান্ত। যা ২৫ মার্চের পর হানাদার বাহিনী এবং স্বাধীনতার পর রক্ষীবাহিনীর বর্বরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এসব ঘটনা নিশিরাতের সরকারের ক্রোধপরায়ণতা ও উৎপীড়নের এক ভিন্ন ও গভীর দৃষ্টান্ত।\’
গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাদের রিমান্ড বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান রিজভী। সজীব রায়হানের ভাই জুয়েল, সোহেল, সুমন যাদের রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তাদেরও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।