এরশাদের আমলে এদেশে কোনো সন্ত্রাস ছিলো না বলে জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু। আমরা সন্ত্রাস করি না, কাউকে করতেও দেব না।
সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে সৈয়দপুরের শান্ত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে ভোট কারচুপির চেষ্টা করবেন না। তাহলে বিএনপির মতো ভোট চোর বলতে বাধ্য হবো এবং সন্ত্রাসের উচিত জবাব দেওয়া হবে। গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে জাপার মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলমের সমর্থনে শহরের কলিম মোড়ে আয়োজিত গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় আরও বক্তব্য দেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম ভুঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ টি ইউ তাজ রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ তানজিল আহমেদ, ছাত্র বিষয়ক সহ সম্পাদক ফয়সাল দিদার দিপু, কেন্দ্রীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, নীলফামারী জেলা যুব সংহতির সভাপতি রওশন মাহানামা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ভুট্টু, উপজেলা জাপা আহ্বায়ক ও সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, উপজেলা জাপার সদস্য সচিব জিএম কবির মিঠু, জাপার আহ্বায়ক ঠিকাদার জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় ছাত্র সমাজের সদস্য রক্সি খান প্রমুখ।
জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, ভোটে কোনো রকম অনিয়ম করা হলে সৈয়দপুরের পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জাতীয় পার্টির ঘাঁটি সৈয়দপুর থেকেই এ সরকারের সব অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে এরশাদের সৈনিকরা। ভোটারদের যদি ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয় তাহলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির করা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে সমর্থন ত্যাগ করে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে আমাদের।
মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রার্থী একজন শিল্পপতি এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ। তিনি নিজের উপার্জিত বৈধ অর্থায়নে একাধিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন। তারপর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। তাই মেয়র হয়ে তাকে আয় করতে হবে না। বরং তিনি ব্যক্তিগতভাবে যে সাহায্য সহযোগিতা করেন তার সঙ্গে সরকারি সুযোগ সুবিধাগুলোর মাধ্যমে জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।